বাংলা জোকস [ Bangla Jokes ] – বাংলা কৌতুক, বাংলা হাসির গল্প, BD Jokes

বাংলা জোকস [ Bangla Jokes ] – বাংলা কৌতুক, বাংলা হাসির গল্প, BD Jokes:

আমাদের বাংলা জোকস (Bangla Jokes), বিডি জোক্স (BD Jokes), বাংলা কৌতুক, বাংলা হাসির গল্প (Bengala comedy story), জোকসগুলো বেশিরভাগই বিভিন্ন পত্রপত্রিকা ও বই থেকে নেওয়া।

 

বাংলা জোকস (Bangla Jokes) – ১ঃ কালার ব্লাইন্ড

কাবেরী : তুই লাল সিঁদুর না দিয়ে সবুজ দিয়েচিস যে ?
সীমা : আমার স্বামী কালার ব্লাইন্ড ।

 

বাংলা জোকস (Bangla Jokes) – ২ঃ সম্মোহনবিদ্যা

স্বামী : সম্মোহনবিদ্যা আবার কী গো ?
শিক্ষিতা স্ত্রী : সম্মোহনবিদ্যা জানলে দ্বিতীয় কোনো মানুষকে নিজের বশে রেখে তাকে দিয়ে ইচ্ছেমতো কাজ করানো যায়।
স্বামী : ওটা আবার সম্মোহনবিদ্যা নাকি ? ওটা তো বিয়ে ।

 

বাংলা জোকস (Bangla Jokes) – ৩ঃ নীরবতা পালন

স্ত্রী : ওগো আজ আমাদের বিয়েবার্ষিকী । কী করবে কিছু ঠিক করেছ ?
স্বামী চুপচাপ ।
স্ত্রী : আশ্চর্য ! পাঁচ মিনিট ধরে চুপ করে রয়েছ ব্যা্পারটা কী ?
স্বামী : না আমাদের দশম বিয়েবার্ষিকী উপলক্ষে ৫ মিনিট নীরবতা পালন করলাম।

 

বাংলা জোকস (Bangla Jokes) – ৪ঃ রান্না করব না

বাইরে প্রবল বর্ষণ হচ্ছে। আনন্দে ছেলে চিৎকার করল “হুররে,আজ স্কুলে যেতে হবে না।”
বাবাও আনন্দে চিৎকার করলেন,‘হুররে আমি ও অফিসে যাব না।’
স্ত্রী ও রান্নাঘর থেকে বেরিয়ে এসেও আনন্দে চিৎকার করলেন ‘হুররে আমি তাহলে আজ রান্না করব না ।’

 

বাংলা জোকস (Bangla Jokes) – ৫ঃ মাইল স্টো্ন

মি,আকন্দ তার দশম বিবাহবার্ষিকীর পার্টিতে বক্তব্য দিতে উঠে দাঁড়ালেন- “আপনারা দেখতে পাচ্ছেন আমার স্ত্রী একটি কেক তৈরি করেছেন… এই সুন্দর কেকটা কেটে আমি শুরু করব আজকের পার্টি তবে… প্রতি বিবাহবার্ষিকীতেই আমার স্ত্রী কেক তৈরি করে থাকেন, প্রতিটি কেককেই আমি আমাদের এই বিবাহিত জীবনে এক একটি ‘মাইল স্টো্ন’ বলে বিবেচনা করি।’’

 

বাংলা জোকস (Bangla Jokes) – ৬ঃ পাথরের বাগান

স্বামী : তুমি এ কেকটা কীভাবে বানিয়েছ?
স্ত্রী : এই ম্যাগাজিনটা থেকে- এখানে একটা রেসিপি পাতা আছে সেখান থেকে দেখে দেখে রা্ন্না করেছি।
স্বামী : তুমি নিশ্চিত যে তুমি ঐ রেসিপির পাতাটাই পড়েছ? আমার সন্দেহ হচ্ছে …কারণ ঐ পাতার উল্টো দিকেই কিন্তু “পাথরের বাগান” বানানোর পদ্ধতি দেওয়া আছে।

 

বাংলা জোকস (Bangla Jokes) – ৭ঃ রাগটা কাল করলে হয় না

স্ত্রী : তোমার এই টানাটানির সংসারে আমি আর থাকতে পারব না, আমি বাপের বাড়ি চললাম।
স্বামী : রাগটা কাল করলে হয় না?
স্ত্রী : মানে?
স্বামী : মানে আজ ২৪ ঘন্টা হরতাল কিনা।

 

বাংলা জোকস (Bangla Jokes) – ৮ঃ রাত কাবার

একজন এ্যাকাউন্ট্যান্ট তার স্ত্রীকে বললেন “গত রাতে আমি এক ফোঁটা ঘুমাতে পারিনি”।
: “সেক্ষেত্রে তোমার ভেড়ার পাল গুনা উচিত”।
: গুনেছিলাম কিন্তু প্রথম পালটা গুনায় একটা ভুল করে ফেলেছিলাম; পরে সেই ভুলটা ঠিক করতে করতেই রাত কাবার হয়ে গেল

 

বাংলা জোকস (Bangla Jokes) – ৯ঃ বিশ্রী কালো মোটা একটা ভুত

স্বামী : কাল রাতে যা ভয় পেয়েছিলাম দেখি বাথরুমের কাছে বিশ্রী কালো মোটা একটা ভুত দাঁড়িয়ে।
স্ত্রী : তারপর ?
স্বামী : তারপর ভয়ে ভয়ে লাইটটা জ্বালালাম।
স্ত্রী : তারপর ?
স্বামী : তারপর আর কি দেখি শাশুড়ি আম্মা। বাথরুমে যাচ্ছেন।

 

বাংলা জোকস (Bangla Jokes) – ১০ঃ বাড়িসুদ্ধ সবাইকে নিয়ে

: খুবই দুঃখের বিষয় যে আপনার পুরো বাড়িটা হারিকেনে উড়িয়ে নিয়ে গেছে …
ভিতরে আপনার স্ত্রীও ছিলেন-
: একদিক দিয়ে ভালোই হয়েছে। অনেক দিন ধরে ও বাড়িসুদ্ধ সবাইকে নিয়ে বেড়াতে যেতে চাচ্ছিল।

 

বাংলা জোকস (Bangla Jokes) – ১১ঃ পরীক্ষা হয়ে যাক

স্ত্রী : ওগো আমি মারা গেলে তুমি কাঁদবে না ?
স্বামী : অবশ্যই।
স্ত্রী : আমার বিশ্বাস হয় না।
স্বামী : বেশ পরীক্ষা হয়ে যাক।

 

বাংলা জোকস (Bangla Jokes) – ১২ঃ ইয়ার্কি একদম পছন্দ করি না

তুমুল ঝগড়া চলছে স্বামী-স্ত্রীতে। স্ত্রী এক পর্যায়ে ঠাস করে স্বামীর গালে এক চড় বসিয়ে দিল।
স্বামী: এই চড়টা তুমি ইয়ার্কি করে মারলে, না সত্যি সত্যি মারলে?
স্ত্রী: সত্যি সত্যিই মেরেছি।
স্বামী: ঠিক আছে, ইয়ার্কি আমি আবার একদম পছন্দ করি না।

 

বাংলা জোকস (Bangla Jokes) – ১৩ঃ ভবিষ্যতের বউ নিয়ে কথা

দুই বান্ধবী গল্প করছে।
প্রথমজনঃ আর পারি না। বুঝেছিস! আমার স্বামী সব সময় তাঁর আগের বউয়ের কথা বলতে থাকে।
দ্বিতীয়জনঃ তাও ভালো! আমার স্বামী তো ভবিষ্যতে তার বউ যে হবে, তাকে নিয়ে কথা বলে।

 

বাংলা জোকস (Bangla Jokes) – ১৪ঃ বোঝার উপায়ই নেই

কার স্ত্রী কতটা ভালো তা নিয়ে কথা বলছে তিন বন্ধু।
প্রথম বন্ধুঃ আমার তানিয়ার কোনো তুলনা নেই। চা খেতে গিয়ে আমার হাত থেকে কাপ পড়ে টুকরো টুকরো হয়ে গেল। তানিয়া সেটা নিয়ে এমনভাবে আঠা লাগিয়ে দিল যে বোঝারই উপায় নেই ওটা ভেঙেছিল।
দ্বিতীয় বন্ধুঃ একবার আমার প্যান্ট ছিঁড়ে গেল। আমার স্‌ভেতা এমনভাবে তা সেলাই করে দিল, দেখে বুঝতেই পারবে না ওটা কোনোকালে ছিঁড়ে গিয়েছিল।
তৃতীয় বন্ধুঃ আমার ল্যুবা আমার শার্টটা ধুয়ে দিয়েছে, তাকিয়ে দেখ, বোঝার উপায়ই নেই যে ওটা ধোয়া হয়েছে।

 

বাংলা জোকস (Bangla Jokes) – ১৫ঃ ২০তম বিবাহবার্ষিকী

মাঝরাতে হঠাৎ ঘুম ভেঙে গেল স্ত্রীর। চোখ পিটপিট করে তাকিয়ে দেখলেন, স্বামী বিছানায় নেই। বিছানা থেকে নেমে গায়ে গাউন চাপালেন তিনি। তারপর স্বামীকে খুঁজতে সিঁড়ি দিয়ে নিচে নেমে এলেন।
বেশি খুঁজতে হলো না। রান্নাঘরের টেবিলেই বসে থাকতে দেখা গেল স্বামীপ্রবরকে। হাতে গরম এক কাপ কফি নিয়ে দেয়ালের দিকে তাকিয়ে আছেন তিনি। দেখেই বোঝা যাচ্ছে, গভীর কোনো চিন্তায় মগ্ন। মাঝেমধ্যে অবশ্য হাতের রুমাল দিয়ে চোখ থেকে পানি মুছে নিচ্ছেন, তারপর কফি খাচ্ছেন।
‘কী হয়েছে তোমার?’ রান্নাঘরে ঢুকতে ঢুকতে চিন্তিতভাবে বললেন স্ত্রী। ‘এত রাতে রান্নাঘরে কেন?’
স্বামী তাঁর স্ত্রীর দিকে তাকালেন। তারপর গম্ভীর হয়ে বললেন, ‘হঠাৎ ২০ বছর আগের কথা মনে পড়ল। খেয়াল আছে তোমার, যেদিন আমাদের প্রথম দেখা হয়েছিল। আর তার পর থেকেই তো আমরা ডেট করতে শুরু করেছিলাম। তোমার বয়স ছিল ষোলো। তোমার কি মনে পড়ে সেসব?’
স্ত্রী তাঁর স্বামীর চোখের পানি মুছে দিতে দিতে জবাব দিলেন, ‘হ্যাঁ, অবশ্যই মনে আছে।’
স্বামী একটু থেমে বললেন, ‘তোমার কি মনে আছে, পার্কে তোমার বাবা আমাদের হাতেনাতে ধরে ফেলেছিলেন?’
‘হ্যাঁ, আমার মনে আছে।’ একটা চেয়ার নিয়ে স্বামীর কাছে বসতে বসতে বললেন স্ত্রী।
স্বামী আবার বললেন, ‘মনে আছে, তোমার বাবা তখন রেগে গিয়ে আমার মুখে শটগান ধরে বলেছিলেন, ‘এক্ষুনি আমার মেয়েকে বিয়ে করো, নয়তো তোমাকে ২০ বছর জেল খাটাব আমি।’
স্ত্রী নরম সুরে বললেন, ‘আমার সবই মনে আছে।’
স্বামী আবার তাঁর গাল থেকে চোখের পানি মুছতে মুছতে বললেন, ‘আজকে আমি জেল থেকে ছাড়া পেতাম।’

 

বাংলা জোকস (Bangla Jokes) – ১৬ঃ বাড়িতেই ফিরে আসবে

স্ত্রী রাগতস্বরে বলছে স্বামীকেঃ তুমি একটা মানুষ বটে! মা বেড়াতে এসেছেন, অথচ তুমি একবারও বাইরে নিয়ে গেলে না।
: বেড়াতে নিয়ে গেলে কী হতো? তাকে কোথাও ছেড়ে এলেও তো আবার এ বাড়িতেই ফিরে আসবে!

 

বাংলা জোকস (Bangla Jokes) – ১৭ঃ তুমি জীবনটাকে একেবারেই বদলাতে চাও না

স্ত্রীঃ আচ্ছা, তুমি অন্য জন্মে কোন প্রাণী হয়ে জন্মাতে চাও?
স্বামীঃ কুত্তা।
স্ত্রীঃ তার মানে তুমি জীবনটাকে একেবারেই বদলাতে চাও না!

 

বাংলা জোকস (Bangla Jokes) – ১৮ঃ উকিল ডাকছি

স্ত্রী: কী বললে তুমি, উত্তরার বাড়িটা আমার নামে লিখে দেবে না? ঠিক আছে, আমি চললাম বাপের বাড়ি।
স্বামী: দাঁড়াও, আমি উকিল ডাকছি।
স্ত্রী: বাড়িটা লিখে দেওয়ার ব্যাপারে?
স্বামী: না, ডিভোর্সের ব্যাপারে।

 

বাংলা জোকস (Bangla Jokes) – ১৯ঃ খুন করাটাও বেআইনী

এক সদ্য বিবাহিত দম্পতি ঠিকমতো বনিবনা না হওয়াতে গেছেন ম্যারিজ কাউন্সিলরের কাছে।
কাউন্সিলর: এত অল্পতেই হাল ছেড়ে দিলে চলবে? একে অপরকে ভালোবাসুন। সব ঠিক হয়ে যাবে। ভালোবাসাটাই আসল। এই আমি ২৫ বছর ধরে বিবাহিত। প্রায়ই ইচ্ছে হয় ওকে খুন করে ফেলি। কিন্তু করি না, কারণ আমি তাকে ভালোবাসি। তাছাড়া খুন করাটাও বেআইনী!

 

বাংলা জোকস (Bangla Jokes) – ২০ঃ আয়রনের তার

রুষ্ট স্বামী বলছেন স্ত্রীকেঃ তুমি আবার আমার প্যান্টের শুধু পায়ের দিকটাই আয়রন করেছ!
রাগত স্ত্রীর জবাবঃ তোমাকে কতবার বলেছি, আয়রনের তারটা একটু বড় করো!

 

বাংলা জোকস (Bangla Jokes) – ২১ঃ কাজুবাদাম আর স্বামীর মধ্যে পার্থক্য

-বলুন তো, কাজুবাদাম আর স্বামীর মধ্যে সবচেয়ে বড় পার্থক্য কী?
-কাজুবাদাম চিবানো হয় পকেটে টাকা থাকলে, স্বামীকে চিবানো হয় টাকা না থাকলে।

 

বাংলা জোকস (Bangla Jokes) – ২২ঃ নাশতা

ভোর। নতুন বউ ঘুম থেকে জেগে দেখেন স্বামী গেছেন রান্নাঘরে। বউ খুব খুশি। কী ভালোবাসেন স্বামী ওকে! সক্কালবেলা চলে গেছেন রান্না করতে।
স্ত্রীকে দেখে স্বামী বললেন, লক্ষ্মীটি, তুমি আপেলের জুস ঢালো গ্লাসে আর ফ্রিজ থেকে বের করে রুটিগুলো সেঁকে দাও! নাশতা তৈরি হয়ে গেল বলে!
স্ত্রীর মন ভরে উঠল। কী তৈরি করছেন স্বামী? নিজেকে সামলাতে না পেরে বললেন, আজ কী নাশতা তৈরি করছ?
স্বামী বললেন, আজকের নাশতা আপেলের জুস আর সেঁকা রুটি।

 

বাংলা জোকস (Bangla Jokes) – ২৩ঃ পচা স্মৃতিশক্তি

-আমার বউয়ের খুব পচা স্মৃতিশক্তি!
-মানে! কিছুই মনে রাখতে পারে না?
-উল্টো! সবকিছু মনে রাখে···

 

বাংলা জোকস (Bangla Jokes) – ২৪ঃ হ্যাভারস্যাকটা কাঁধে চেপে বসেছে

পাহাড়ি পথে হাঁটতে হাঁটতে স্ত্রী বলছেনঃ আমি খুব ক্লান্ত হয়ে পড়েছি। খুব ক্লান্ত! এভাবে দুই ঘণ্টা হাঁটছি!
-আরেকটু সহ্য করো, বউ। একটু পরেই উতরাই।
-আর পারি না! হ্যাভারস্যাকটা কাঁধে চেপে বসেছে···
-কিন্তু আমি কী করতে পারি, বউ?
-তুমি হ্যাভারস্যাকের ভেতর থেকে নেমে এবার একটু হাঁটতে তো পারো···

 

বাংলা জোকস (Bangla Jokes) – ২৫ঃ মহাকাশচারী হতে চেয়েছিলাম

-প্রিয়তম, তুমি খুব শিগগিরই বাবা হবে!
-কিন্তু আমি তো মহাকাশচারী হতে চেয়েছিলাম!

 

বাংলা জোকস (Bangla Jokes) – ২৬ঃ কানের মধ্যে যানজট

স্ত্রী: কোনো কথা বললে তোমার কানে পৌঁছাতে এত সময় লাগে কেন?
স্বামী: কানের মধ্যে যানজট তো তাই সিগন্যাল না ওঠা পর্যন্ত শুনতে পাই না।

 

বাংলা জোকস (Bangla Jokes) – ২৭ঃ এত তাড়াতাড়ি বাসায় এলে যে

স্ত্রীঃ তুমি আজ এত তাড়াতাড়ি বাসায় এলে যে!
স্বামীঃ বস্‌ আজ রেগে গিয়ে বললেন, তোমার এক্ষুনি নরকে যাওয়া উচিত।

 

বাংলা জোকস (Bangla Jokes) – ২৮ঃ বিড়াল সমাচার

স্ত্রীঃ শুনছ, রাতের জন্য যা রান্না করেছিলাম, সব বিড়াল খেয়ে ফেলেছে।
স্বামীঃ মন খারাপ কোরো না, কালকে তোমাকে আরেকটা বিড়াল এনে দেব।

 

বাংলা জোকস (Bangla Jokes) – ২৯ঃ আদর্শ পুরুষ

একজন আদর্শ পুরুষ কখনো নেশা করে না, কখনো নাক ডাকে না, কখনো টেলিভিশনে খেলা দেখে না, কখনো বউয়ের সঙ্গে তর্কে যায় না এবং একজন আদর্শ পুরুষের কখনো অস্তিত্ব থাকে না।

 

বাংলা জোকস (Bangla Jokes) – ৩০ঃ বউয়েরও একই কথা

দুই বন্ধুর মধ্যে কথা হচ্ছে-
প্রথম বন্ধুঃ আমি এখন আর আমার বউয়ের সঙ্গে থাকি না।
দ্বিতীয় বন্ধুঃ কেন কেন?
প্রথম বন্ধুঃ তুই কি এমন কারও সঙ্গে থাকতে পারবি যে নেশা করে, সিগারেট খায়, রাতে দেরি করে বাসায় ফেরে?
দ্বিতীয় বন্ধুঃ কোনো দিনও না।
প্রথম বন্ধুঃ আমার বউয়েরও একই কথা।

 

বাংলা জোকস (Bangla Jokes) – ৩১ঃ স্বামী এখন কোথায়

প্রথম বান্ধবীঃ জানিস, আমার স্বামী এখন কোথায় আছে?
দ্বিতীয় বান্ধবীঃ কেন, কোথায়?
প্রথম বান্ধবীঃ র‌্যাবে।
দ্বিতীয় বান্ধবীঃ ওয়াও! কখন গেছে?
প্রথম বান্ধবীঃ গত রাতে র‌্যাব তাকে ধরে নিয়ে গেছে।

 

বাংলা জোকস (Bangla Jokes) – ৩২ঃ এমন মানুষ খুঁজে পাবে

স্বামীঃ যখন আমি থাকব না তখন দেখবে আমার মতো এমন মানুষ তুমি আরেকজন খুঁজে পাবে না!
স্ত্রীঃ আমার কি মাথা খারাপ হয়েছে যে আমি তোমার মতো আরেকজন মানুষ খুঁজতে যাব!

 

বাংলা জোকস (Bangla Jokes) – ৩৩ঃ পৃথিবীর সবচেয়ে সুখী মানুষ

স্বামীঃ আমি আজ তোমাকে পৃথিবীর সবচেয়ে সুখী মানুষ বানাব।
স্ত্রীঃ তাই! শুনে ভালো লাগল। আমিও তোমাকে খুব মিস করব।

 

বাংলা জোকস (Bangla Jokes) – ৩৪ঃ ঘরের ময়লা

ঝগড়ার একপর্যায়ে মহা ক্ষিপ্ত স্ত্রী বলছেন, ‘তোমার এই পোড়া সংসারের কপালে ঝাঁটার বাড়ি দিই আমি!’ হাসতে হাসতে স্বামী বললেন, ‘যাক, এত দিন পর তাহলে ঘরের সব ময়লা দূর হবে বলে মনে হচ্ছে!’

 

বাংলা জোকস (Bangla Jokes) – ৩৫ঃ সস্তা দামের ইমিটেশন

এক মহিলা তাঁর স্বামীর অফিসে গিয়ে এক নারী-কর্মচারীর গলায় সোনার দামি চেইন দেখে ভীষণ অবাক। বাসায় ফিরে তিনি স্বামীকে অনুযোগের সুরে বলছেন, ‘তোমার অফিসের ওই কর্মচারী মহিলাকে দেখেছ, কী দারুণ একটা সোনার চেইন পরেছে! এত বেতনের চাকরি করেও তো তেমন একটা চেইন দিতে পারলে না আজ পর্যন্ত!’ স্বামী বেখেয়ালে বলে ফেললেন, ‘আরে দূর, ওটা তো সস্তা দামের ইমিটেশন। গুলিস্তানের মোড়ে কত পাওয়া যায়!’

 

বাংলা জোকস (Bangla Jokes) – ৩৬ঃ জন্মদিনে কিছুই দিতে হবে না

স্ত্রী চোখের জলে, নাকের জলে নিজেকে ভাসিয়ে দিয়ে বলছে, দুই সপ্তাহ ধরে বলছি, আমার জন্মদিনে তোমাকে কিছুই দিতে হবে না, অথচ তুমি তা ভুলে গেলে!

 

বাংলা জোকস (Bangla Jokes) – ৩৭ঃ ঘুমের ওষুধ

ডাক্তারঃ আপনার স্বামীর বিশ্রাম দরকার, তাই কিছু ঘুমের ওষুধ প্রেসক্রাইব করলাম।
ভদ্রমহিলাঃ এগুলো আমার স্বামীকে কখন খাওয়াব?
ডাক্তারঃ এগুলো আপনার স্বামীর জন্য নয়, আপনার জন্য।

 

বাংলা জোকস (Bangla Jokes) – ৩৮ঃ স্বামী আর গাধার তফাত

স্বামী আর একটি গাধার তফাত কী?
একজন স্বামী গাধা হতেও পারে, কিন্তু একটি গাধা এতটা গাধা নয় যে সে কারও স্বামী হবে।

 

বাংলা জোকস (Bangla Jokes) – ৩৯ঃ একা কি সবার সঙ্গে পার

স্বামী স্ত্রীকে জিজ্ঞেস করল, বিয়ের আগে তুমি কি কারও সঙ্গে প্রেম করেছ? স্ত্রী বলল, হ্যাঁ। স্বামী রেগে বলল, তাহলে ওই হতচ্ছাড়ার নাম বলো। এক্ষুনি গিয়ে দাঁত ভেঙে দিয়ে আসি। স্ত্রী বলল, ওগো, তুমি একা কি তাদের সবার সঙ্গে পারবে?

 

বাংলা জোকস (Bangla Jokes) – ৪০ঃ ঘুমের ঘোরে

একদিন মধ্যরাতে মাথাব্যথার কারণে স্ত্রী সম্পাকে ডেকে তুললাম। চা খাব। সম্পা চোখে ঘুম নিয়েই চা করতে গেল। কিছুক্ষণ পর চা নিয়ে এসে দিয়েই শুয়ে পড়ল। চায়ের কাপে চুমুক দিয়েই দৌড়ে গিয়ে বেসিনে বমি করলাম। হঠাৎ সম্পা বলে উঠল, ‘সবারই এই সময়টাতে এমন বমি বমি ভাব হয়।’
আমি আজও বুঝিনি সম্পা কেন ওই কথা বলেছিল। তবে পরে ও বলেছিল, ‘হয়তো ঘুমের ঘোরে বলেছিলাম।’ আমিও বলেছিলাম, ‘সেদিন তুমি ঘুমের ঘোরে আমাকে শুধু প্রেগন্যান্টই ভাবোনি, চায়ের মধ্যে চিনির বদলে আয়োডিনযুক্ত লবণ দিয়েছিলে।’

 

বাংলা জোকস (Bangla Jokes) – ৪১ঃ আনন্দের চোটে

এক ভদ্রলোকঃ স্যার, আমার বউ হারিয়ে গেছে।
ডাক্তারঃ এটা হাসপাতাল, এখানে বলে কোনো লাভ নেই। পুলিশ স্টেশনে গিয়ে কমপ্লেন করুন।
ভদ্রলোকঃ আসলে আনন্দের চোটে মাথাটা ঠিক কাজ করছে না।

 

বাংলা জোকস (Bangla Jokes) – ৪২ঃ তুমি কি ভাব

এক ভদ্রলোক তাঁর স্ত্রীকে জোরে একটা চড় মেরে বললেন, ‘যাকে মানুষ ভালোবাসে তাকেই মারে।’
তাঁর স্ত্রী তাঁর গালে দ্বিগুণ জোরে এক চড় মেরে বললেন, ‘তুমি কি ভাব, আমি তোমাকে ভালোবাসি না?’

 

বাংলা জোকস (Bangla Jokes) – ৪৩ঃ মুখ খোলার সুযোগ

তাঁর সামনে কখনো আমি মুখ খোলার সুযোগ পাই না, একমাত্র হাই তোলা ছাড়া।

 

বাংলা জোকস (Bangla Jokes) – ৪৪ঃ কত কিছু টেস্ট করে রেখেছে

একদিন এক স্ত্রী তার স্বামীর জন্য খুব যত্ন নিয়ে চটপটি তৈরি করল। স্বামী এক চামচ মুখে দিয়েই ওয়াক করে ফেলে দিল আর বলল, ‘এটা কী রেঁধেছ? খেতে গরুর গোবরের মতো!’
স্ত্রী আঁচল দিয়ে মুখ চাপা দিয়ে বলল, ‘ও মা! কত কিছু টেস্ট করে রেখেছে!’

 

বাংলা জোকস (Bangla Jokes) – ৪৫ঃ খেয়াল

একদিন তুমুল ঝগড়ার পর গিন্নি তাঁর কর্তাকে বললেন, আমি মনে হয় পাগল ছিলাম যে তোমাকে বিয়ে করতে রাজি হয়েছিলাম।
কর্তা বললেনঃ আর আমিও তোমার প্রেমে তখন এত হাবুডুবু খেয়েছিলাম যে খেয়াল করিনি তুমি পাগল।

 

বাংলা জোকস (Bangla Jokes) – ৪৬ঃ স্বাধীনতা

— তুই না তোর স্বামীর কাছে আরও স্বাধীনতা দাবি করেছিলি?
— সে মিস্ত্রি ডেকে রান্নাঘরটা বড় করে দিয়েছে।

 

বাংলা জোকস (Bangla Jokes) – ৪৭ঃ স্ত্রীর অনুমতি

— পাভেলভের মতো স্ত্রৈণ খুব কমই দেখেছি।
— কী রকম?
— ও কোনো কাজের আগে স্ত্রীর অনুমতি নিয়ে নেয়।
— আমি একজনকে চিনি, তার অবস্থা আরও খারাপ। সেই লোক আত্মহত্যার আগেও স্ত্রীর অনুমতি চাইত। কিন্তু দুঃখের বিষয় হলো, স্ত্রী অনুমতি দেয়নি বলে দুঃখে দুঃখেই লোকটার জীবন কাটল।

 

বাংলা জোকস (Bangla Jokes) – ৪৮ঃ গড়পড়তাদের আওতায়

—আজই একটা পত্রিকায় কী পড়লাম জানো?
—কী?
—বিজ্ঞানীরা বলেছেন, বেশির ভাগ মানুষ দিনে গড়ে ১০ হাজার শব্দ বলে।
—লক্ষ্মীটি, তাতে তোমার লজ্জা পাওয়ার কিছু নেই। তুমি মোটেও সেই গড়পড়তাদের আওতায় পড় না। তুমি তাদের অনেক ওপরে।

 

বাংলা জোকস (Bangla Jokes) – ৪৯ঃ রাজনীতিবিদ-স্বামীর গুণ

–একজন প্রকৃত রাজনীতিবিদ-স্বামীর গুণ কী?
—সে বউয়ের জন্মদিন মনে রাখে আর বয়স ভুলে যায়।

 

বাংলা জোকস (Bangla Jokes) – ৫০ঃ স্বামীর প্রিয় হবি

: আপনার স্বামীর প্রিয় হবি কি?
: সত্যি বলতে কী আমার স্বামীর প্রিয় হবি নতুন-নতুন সুন্দরী মেয়ের পেছনে ছোটা।
: কী আশ্চর্য! তাতে আপনি নির্বিকার।
: এতে উত্তেজিত হবার কী আছে? মোটরগাড়ি দেখলেই তো কুকুর তার পেছনে ছোটা। কিন্তু কুকুর কি কখনো মোটরগাড়িকে ধরতে পারে?

 

বাংলা জোকস (Bangla Jokes) – ৫১ঃ পাকা হাত

: অমন স্ত্রী নিয়ে আমি আর ঘর করতে পারিছ না, হুজুর।
: কেন?
: হাতের কাছে যা পায় তাই ছুড়ে মারে।
: কবে থেকে তার এই বাতিক দেখা দিয়েছে?
: বিয়ের পরপরই।
: তা হরে আপনি দশ বছর পরে ডিভোর্স চাচ্ছেন কেন?
: আগে হাতের ঠিক ছিল না। একটাও লাগত না। দশ বছরে হাত পেকেছে। এখন একটাও ফসকায় না।

 

বাংলা জোকস (Bangla Jokes) – ৫২ঃ কিপ্টে স্বামী

এক কিপ্টে লোক ডাক্তার এর কাছে গেল ইউরিন টেস্টের জন্য। টেস্ট শেষ করে সে তার ইউরিনের বোতল তা সাথে নিয়ে বাসাইয় চলে এল, তখন তার স্ত্রী এইটা দেখে অবাক হয়ে বলল, সে কি, তুমি এইটা নিয়ে এলে কেন?
লোকের জবাব, ডাক্তার বলেছে আমার ইউরিনে নাকি সুগার আছে, এখন চিনির যে দাম, তাই এইটা সাথে করে নিয়ে এলাম।

 

বাংলা জোকস (Bangla Jokes) – ৫৩ঃ কিপ্টে স্বামী

এক কিপ্টে লোক ডাক্তার এর কাছে গেল ইউরিন টেস্টের জন্য। টেস্ট শেষ করে সে তার ইউরিনের বোতল তা সাথে নিয়ে বাসাইয় চলে এল, তখন তার স্ত্রী এইটা দেখে অবাক হয়ে বলল, সে কি, তুমি এইটা নিয়ে এলে কেন?
লোকের জবাব, ডাক্তার বলেছে আমার ইউরিনে নাকি সুগার আছে, এখন চিনির যে দাম, তাই এইটা সাথে করে নিয়ে এলাম।

 

বাংলা জোকস (Bangla Jokes) – ৫৪ঃ ক্যলেন্ডারে ছুটি

স্ত্রী তার চাকুরিজীবি স্বামীর জন্য একটা ক্যালেন্ডার নিয়ে এল, এইটা দেখে স্বামী মুখ ভার করে বলল, এই ক্যালেন্ডার আমি নিব না।
স্ত্রী উত্তর দিল, কেন? তোমার পছন্দ হয়নি?
স্বামী জবাব দিল, যে ক্যলেন্ডারে ছুটি বেশি থাকে, আমি সেই ক্যালেন্ডারটাই নিব।

 

বাংলা জোকস (Bangla Jokes) – ৫৫ঃ আনতে বললাম কফি

এক বুড়ো দম্পতির “ভুলে যাওয়ার সমস্যা” রোগ দেখা দিল। কিছুই তারা মনে রাখতে পারে না। তারা সিদ্ধান্ত নিল, ডাক্তার এর সাথে কথা বলবে। তো তারা ডাক্তার দেখাতে গেল।

ডাক্তার সবকিছু চেকআপ করার পর তাদের বলল, এটা হলো বয়সের সমস্যা। ডাক্তার তাদের বলল, আপনারা সবকিছু খাতায় লিখে রাখবেন, এ ছাড়া আপাতত আর কিছু করার নেই।

যাই হোক তারা বাড়ি চলে আসলো। আর সেদিন রাতে টেলিভিশন দেখার সময় স্ত্রী হঠাৎ করে রুমের বাইরে যাচ্ছে…

স্বামী: কোথায় যাও?
স্ত্রী: রান্নাঘরে।
স্বামী: আচ্ছা, আমার জন্য একটা আইসক্রিম নিয়ে আসবে।
স্ত্রী: আসবো।
স্বামী: খাতায় লিখে রাখ। নইলে আবার ভুলে যাবে।
স্ত্রী: আরে লাগবে না, মনে থাকবে।
স্বামী: থাকলে ভালো, আচ্ছা এক গ্লাস পানি নিয়ে আসতে পারবে?
স্ত্রী: পারবো না কেন?
স্বামী: এটা খাতায় লিখে রাখ।
স্ত্রী: লাগবে না, একটা আইসক্রিম আর এক গ্লাস পানি, এই তো।
স্বামী: হু, ঠিক আছে। আর শোন, একটা চানাচুর এর প্যাকেট নিয়ে এসো। এটা লিখে রাখ। এত কিছু মনে নাও থাকতে পারে।
স্ত্রী: আরে আমার স্মৃতি তোমার থেকে ভাল। মনে থাকবে। একটা আইসক্রিম, পানি আর চানাচুর এইতো।
স্বামী: হু।

২০ মিনিট পর। স্ত্রী রান্নাঘর থেকে ফেরত আসলো। তার হাতে একটি প্লেটে একটা কেক আর একটা ডিম।

স্ত্রী: এই নাও তোমার কেক আর ডিম।
স্বামী: আর বলেছিলাম না তোমার মনে থাকবে না। আনতে বললাম কফি আর আনলে কেক আর ডিম।

 

বাংলা জোকস (Bangla Jokes) – ৫৬ঃ লাইন এর পিছনে গিয়া সিরিয়াল দেন

একবার এক মহিলা মারা গেছেন। লাশ নিয়ে যাচ্ছেন তার স্বামী। স্বামীর পিছনে একটি কুকুর, এর পিছনে কয় এক হাজার লোক। এক লোক এসে স্বামীকে জিজ্ঞাসা করলো যে,
–কি হইছে ভাই…এত লোকজন কেন?
–আমার বউ মারা গেছে
— সরি, তো কিভাবে মারা গেল?
–ওইযে কুকুরটা দেখতে পাচ্ছেন এর কামড় এ
— ভাই আমারে একটু ধার দিবেন আপনার কুকুরটা। 🙂
— ঠিক আছে তাইলে লাইন এর পিছনে গিয়া সিরিয়াল দেন।

 

বাংলা জোকস (Bangla Jokes) – ৫৭ঃ প্রতিশোধ

মিঃ হেস্টেন মৃত্যুশয্যায় স্ত্রীকে ডেকে বললেন, আমার মৃত্যুর একমাস পর তুমি মিঃ রোজারকে বিয়ে করবে।
মিসেস হেস্টেনঃ রোজারকে বিয়ে করবো? সে কী! আমি তো জানি সে তোমার পরম শত্রু।
মিঃ হেস্টেনঃ আমি তা জানি। কারণ আমি এত বছর ভূগেছি, এবার তাকে একটু ভূগতে দাও।

 

বাংলা জোকস (Bangla Jokes) – ৫৮ঃ ব্যাক গিয়ার

এক ভদ্রলোক বিদেশ যাবেন তিন বছরের জন্য । সমস্যা দেখা দিয়েছে তার ছেলেকে নিয়ে। কারণ যে কারণে তিনি বিদেশ যাবেন তাতে স্ত্রী নিয়ে যাওয়া যাবে কিন্তু ছেলেকে নয়। অবশেষে স্ত্রী পরামর্শ দিলেন, ছেলেকে কোন আবাসিক স্কুলে ভর্তি করে তিন বছরের দেনা পাওনা চুকিয়ে দিতে।
ভদ্রলোক করলেনও তাই। ছেলেকে ক্লাস ফোর এ ভর্তি করে দিলেন। তারপর মনের আনন্দে বিদেশ চলে গেলেন।
তিন বছর পর তিনি ফিরে এলেন। এসেই গেলেন স্কুলে। প্রথমে গেলেন ক্লাস সেভেন এ। পেলেন না। ভাবলেন ছেলে হয়তো এক বছর ফেল করেছে। গেলেন সিক্সে, পেলেন না। তারপর গেলেন ফাইভে। পেলেন না। ছেলে হাওয়া। কি অবাক ব্যাপার।
তিনি গেলেন প্রধান শিক্ষকের কাছে। তারপর বললেন, আমার ছেলে কোথায়?
ও আপনার ছেলে, আমাদের স্কুলের নিয়ম অনুযায়ী একবার ফেল করলে এক ক্লাস নিচে নামিয়ে দেয়া হয়। আপনি বরং ক্লাস ওয়ানে খোঁজ নেন।
ভদ্রলোক বাসায় ফিরলেন এবং স্ত্রী কে বললেন, স্ত্রী রেডি থেকো। তোমার ছেলে যেভাবে ব্যাক গিয়ার দিচ্ছে তাতে যে কোন সময় তোমার পেটে ঢুকে যাবে।

 

বাংলা জোকস (Bangla Jokes) – ৫৯ঃ তিনটা ইচ্ছা পূরণ

স্বামী-স্ত্রীতে বনিবনা হচ্ছিল না। শেষে বিশ্বাসহন্তা স্বামীকে রেগে তালাক দিয়ে দিল স্ত্রী। এরপরও রাগ কমে না। একদিন ভদ্রমহিলা পথের পাশে একটা পুরোন অথচ সুন্দর প্রদীপ পেয়ে হাতে নিল। ঘষা দিতেই বিশাল এক দানব বেরিয়ে এল- “মালকিন, আমি প্রদীপের দানব। আমি আপনার তিনটা ইচ্ছা পূরণ করব। আর আপনি যা চাইবেন, আপনি যাকে দেখতে পারেন না; সে তার দ্বিগুণ পাবে।”
মহিলা তো বিমূঢ়। শেষে বলল, “ঠিক আছে, আমাকে ধনী বানিয়ে দিন।” সঙ্গে সঙ্গে মহিলা ধনী হয়ে গেল। তার স্বামী হয়ে গেল দ্বিগুণ ধনী। মহিলা এবার দ্বিতীয় ইচ্ছার কথা জানাল- “আমাকে সুন্দর বানিয়ে দিন।” ইচ্ছামত মহিলা সুন্দরী এবং তার স্বামী দ্বিগুণ সুপুরুষ হয়ে উঠল। দানব বলল, “ঠিক আছে, এবার আপনার শেষ ইচ্ছাটার কথা বলুন।”
-“আমাকে ভয় দেখিয়ে আধমরা করে দিন।”

 

বাংলা জোকস (Bangla Jokes) – ৬০ঃ সবচেয়ে বড় সমস্যা

একটা উপদেশ- সবসময় মানিব্যাগে আপনি আপনার স্ত্রীর ছবি রাখুন। যখনই বড়ো কোনো সমস্যায় পড়বেন তখন মানিব্যাগ বের করে স্ত্রীর ছবিটা দেখবেন, আর মনে করবেন এর চেয়ে বড় সমস্যা আর কিছুই হতে পারে না।

 

বাংলা জোকস (Bangla Jokes) – ৬১ঃ মদ জুয়া ধূমপান

রাতে গাড়ি চালিয়ে ফিরছিলেন এক ভদ্রলোক। গাড়ি জ্যামে আটকে গেলে এক ভিক্ষুক এসে হাত পাতল।
: দয়া করে কিছু দিন স্যার !
: তুমি মদ খাও ?
: না স্যার।
: তুমি ধূমপান কর ?
: না।
: জুয়া খেল ?
: না।
: তুমি শিগগির আমার গাড়িতে উঠ।
: যা দেবার এখানেই দিন, স্যার।
: না, তোমাকে বাড়ি নিয়ে আমার স্ত্রীকে দেখাতে চাই যে, মদ, জুয়া, ধূমপান এ সবের সাথে না থাকলে মানুষের জীবনের কি ভয়াবহ অবস্থা হয়।

 

বাংলা জোকস (Bangla Jokes) – ৬২ঃ একসংগে যাব

স্বামী: এখনো রাঁধ নি। আমি চললাম হোটেলে।
স্ত্রী: একটু দাড়াও, কাপরটা পরে আসি। তারপর একসংগে যাব।

 

বাংলা জোকস (Bangla Jokes) – ৬৩ঃ বিয়ের আগে চুমু

স্বামীঃ আচ্ছা বিয়ের আগে তোমাকে কেউ চুমু খেয়েছিলো?
স্ত্রীঃ একবার পিকনিকে গিয়েছিলাম। সেখানে আমাকে একা পেয়ে একটা ছেলে ছোরা বের করে বলেছিলো, যদি চুমু না খাও, তাহলে খুন করে ফেলবো।
স্বামীঃ তারপর তুমি চুমু খেতে দিলে?
স্ত্রীঃ দেখতেই পাচ্ছো, আমি এখনও বেঁচে আছি।

 

বাংলা জোকস (Bangla Jokes) – ৬৪ঃ রাতের বেলা

নতুন বিয়ে হওয়া বান্ধবীকে প্রশ্ন করল শায়লা- কী রে তোর বর কেমন?

: স্বামী আর পেঁচার মাঝে কোন প্রর্থক্য নেই।
: কেন, এমন কথা বলছিস কেন?
: বলছি কারণ স্বামীরা তাদের বউদের সব ভালো জিনিস শুধৃ রাতের বেলাই খুঁজে পায়।

 

বাংলা জোকস (Bangla Jokes) – ৬৫ঃ না হলে কি হবে

স্বামীঃ আমার পানিটা গরম করে দাও। না হলে —
স্ত্রীঃ না হলে, না হলে কী ? কী করবে ।
স্বামীঃ ঠান্ডা পানিতে গোসলটা সেরে নেবো ।

 

বাংলা জোকস (Bangla Jokes) – ৬৬ঃ স্ত্রীর জন্য পরীক্ষা

ডন ঘরে ঢুকতেই দেখলো তার স্ত্রী জিমির সাথে শুয়ে আছে। সে জিমিকে বললো, বাস্টার্ড সাহস থাকে তো আয় দুটো পিস্তল নিয়ে ডুয়েল লড়ি। যে জিতবে লিন্ডা তার হবে। বলে জিমিকে নিয়ে পাশের ঘরে চলে গেল। পাশের ঘরে ডুয়েল যাবার সময় জিমি বললো, ডন কেন মিছিমিছি আমাদের মাঝে একজন মরবো, তারচেয়ে বরং দুজনেই মরার ভান করে শুয়ে থাকি, লিন্ডা যাকে নিয়ে কাদঁবে, লিন্ডা তার হবে। বলে দুজনে মটকা মেরে শুয়ে পরল এবং দুটি গুলির আওয়াজ করল। ডনের স্ত্রী ঘরে ঢুকে দেখল দুজনেই মরে পড়ে আছে। সে তখন খাটের তলা থেকে তার আরেক প্রেমিক মাইকেলকে ডেকে বললো মাইকেল চলো এসো, এরা দুজনেই মরেছে, আর কোনো বাঁধা নেই।

 

বাংলা জোকস (Bangla Jokes) – ৬৭ঃ চুরুট আমেরিকার

স্বামীর অনুপস্থিতিতে স্ত্রী তার পুরানো প্রেমিকের সাথে বসে গল্প করছিল। এমন সময় হঠাত স্বামী এসে পড়লে প্রেমিক আলমারির পিছনে লুকিয়ে গেল। ঘরের মেঝেতে চুরুট পড়ে থাকতে দেখে স্বামী রেগে গেল। বলে উঠল, এই চুরুট কোথা থেকে এসেছে? স্ত্রী কিছু বলতে পারল না দেখে স্বামী আরো রেগে গেল। স্বামী বলল তোমাকে বলতেই হবে এই চুরুট কোথাকার? প্রেমিক বন্ধুটি সহ্য করতে না পেরে আলমারির পিছন থেকে বের হয়ে বলল, ও তো মেয়ে মানুষ, ও কি করে জানবে এই চুরুট কোথাকার? আপনি পুরুষ মানুষ হয়ে ও চিনতে পারছেন না যে এই চুরুট আমেরিকার?

 

বাংলা জোকস (Bangla Jokes) – ৬৮ঃ লাইফ ইন্সুরেন্স

শ্বাশুড়ি জামাইকেঃ এবার বাবা একটা লাইফ ইন্সুরেন্স করে ফেলো।
জামাইঃ আপনি মা কিনা তাই হয়তো বুঝতে পেরেছেন, মেয়ে আপনার শিগরীর বিধবা হবে।

 

বাংলা জোকস (Bangla Jokes) – ৬৯ঃ ভাগ্যবান স্বামী

১ম বান্ধবী : তোমার স্বামী কেমন আছেন?
২য় বান্ধবী : ও তার মতো ভাগ্যবান আর কেউ হয়না। কাল সে একটা ইন্সুরেন্স করেছিলো আর আজই সে রাস্তায় গাড়ী চাপা পড়ল।

 

বাংলা জোকস (Bangla Jokes) – ৭০ঃ ইন্স্যুরেন্স করা হয়নি

বাবা পুকুরে নেমে গোসল করছেন মা ও ছেলে পুকুর পাড়ে দাঁড়িয়ে দেখছে। হঠাৎ ছেলেটি বললো– মা আমিও বাবার সঙ্গে পুকুরে গোসল করব।
মা– না বাবা তোমার এখনো ইন্স্যুরেন্স করা হয়নি।

 

বাংলা জোকস (Bangla Jokes) – ৭১ঃ ভাল হয়ে গেলেই তো সেরে যাব

স্ত্রী- ওগো আমার কিছু ভালো লাগছেনা ।
স্বামী- কেন?
স্ত্রী- আমার অসুখ যে সারছে না
স্বামী- সারবে না কেন ? ভাল হয়ে গেলেই তো সেরে যাবে।

 

বাংলা জোকস (Bangla Jokes) – ৭২ঃ চুমু খাওয়ার দাম

হলিউডের একজন উঁচুদরের অভিনেতা তার অভিনীত একটা ছবি দেখার জন্য স্ত্রীকে সিনেমা হলে গিয়ে ছবি দেখার জন্য বসলেন । সিনেমার মাঝামাঝ জায়গায় নায়কের নায়িকার চুমু খাওয়ার একটা দৃশ্য দেখে অভিনেতার স্ত্রী অভিযোগ করলেন যে, আমি এতদিন তোমার সঙ্গে বিবাহিত জীবন যাপন করছি অথচ কখনো আমাকে তুমি অমন করে চুমো খাওনি । অভিনেতা বললেন তুমি যদি জানতে যে এই একটি চুমু খাওয়ার জন্য তারা আমায় কত টাকা পারিশ্রমিক দিয়েছে তাহলে আর অমন অভিযোগ করতে না ।

 

বাংলা জোকস (Bangla Jokes) – ৭৩ঃ অর্ধেক লোক পাগল

প্রথমঃ ওকে বিয়ে করার জন্য শহরের অর্ধেক লোক পাগল ।
দ্বিতীয়ঃ সেকি অর্ধেক লোক পাগল ?
প্রথম হ্যাঁ, অর্ধেক, কারণ বাকি অর্ধেকের সাথে তার এর আগেই একবার করে বিয়ে হয়ে গেছে।

 

বাংলা জোকস (Bangla Jokes) – ৭২ঃ ইমিটেশনের টিভি

স্বামী অফিস থেকে ফিরে সাহাস্যে বউকে বললেন – কাল তোমার জন্মদিন এই নেকলেসটা এনেছি।
বৌ অনুযোগে করে করে বলে – কিন্তু তুমি বলেছিলে এবার একটা টিভি উপহার দিবে ।
স্বামীর উত্তর- হ্যাগো বলেছিলাম । কিন্তু ইমিটেশনের টিভি যে এখনো বাজারে পাওয়া যায় না ।

 

বাংলা জোকস (Bangla Jokes) – ৭৩ঃ আমি তো বেচে আছি

উকিলঃ সেকি ম্যাডাম ? আপনার স্বামী তো পাঁচ বছর আগে মারা গেছেন । তাহলে চার বছরের আর একটি দু’বছরের বাচ্চা এলো কোথা থেকে ?
ভদ্রমহিলা রাগের স্বরেঃ তা আমি তো বেঁচে আছি না কি?

 

বাংলা জোকস (Bangla Jokes) – ৭৪ঃ কৃতজ্ঞতা জানাতে হব

উকিল সাহেব হস্তদন্ত হয়ে বাড়ি ফিরলেন অনেক আগেই । উকিল গিন্নী অবাক হয়ে বললেন কোন দিকে চাঁদ উঠল আজ । এত সকাল সকাল সাহেব যে বাড়ী চলে এলেন । সে কথা পরে বলছি, উকিল সাহেব বললেন, আগে তোমার যাবতীয় কাপড় চোপড় আর গহনাগুলো শিগরীর তোমার বাপের বাড়ীতে রেখে আসোগে ।
আরো অবাক হয়ে গিন্নি বললেন, ওমা সে কি কেন ?
আজ এক অতি কুখ্যাত চোরকে বেকুসুর খালাস দিয়ে এসেছি। সে নাকি সন্ধার পর কৃতজ্ঞতা জানাতে হবে ।

 

বাংলা জোকস (Bangla Jokes) – ৭৫ঃ কোথায় যেন দেখছি

দুই মহিলা এক জায়গায় বসে কথা বলছিলেন । কথা প্রসঙ্গে প্রথম মহিলা দ্বিতীয় জনকে বললেন – আমার স্বামী এতই আত্বভোলা যে বাজারে গেলে মাছ কিনবে তো তরকারী ভুলে আসবে, আর তরকারী কিনবে তো মাছ কিনবে না । এই কথা শুনে দ্বিতীয় মহিলা বললেন – আমার স্বামী আরো বেশী আত্মভোলা । সেদিন বাজারে করতে গিয়েছিলাম । সেখানে অফিস যাত্রী স্বামী আমাকে দেখে বললেন – কিছু মনে করবেন না ম্যাডাম আপনাকে যেন আমার খুব পরিচিতি বলে মনে হচ্ছে এবং কোথায় যেন দেখছি।

 

বাংলা জোকস (Bangla Jokes) – ৭৬ঃ দেখ মা মাথা ঠিক নেই

এক লোক আফিস থেকে সন্ধায় বাড়ি ফেরার সাথে সাথে তার ছোট ছেলেটি লোকটির হাত ধরে টান দিয়ে বলল বাবা আমার জন্য চকলেট এনেছ, লোকটি মাত্র আফিস থেকে এসেছে মাথা এমনিতেই গরম-রাগের চোটে লোকটি ছেলেকে বলল সর শালার পো শালা।

লোকটির স্ত্রী রান্না করছিল, এই কথা শুনতে পেয়ে সে রান্না ঘর থেকে এসে স্বামীকে বলল একি তুমি নিজের ছেলেকে শালার পো শালা বলে গালি দিলে। ছেলেকে কেউ শালা বলে!

স্ত্রীর কথা শুনে স্বামী স্ত্রী বলল, দেখ মা মাথা ঠিক নেই!!

 

বাংলা জোকস (Bangla Jokes) – ৭৭ঃ লিপস্টিক

স্বামী : তোমার এক মাসে এতো লিপস্টিক লাগে আমি ভাবতে পারি না, আর কারো এতো লাগে কিনা?
স্ত্রী : আরে লিপস্টিকের অর্ধেকতো তোমার পেটেই যায়।

 

বাংলা জোকস (Bangla Jokes) – ৭৮ঃ চুল ওঠার ঔষুধ

স্বামীর অফিসে যাবার সময় স্ত্রী তার কাছে একটা ছোট প্যাকেট দিয়ে বললেন- এটাতেই তোমার লেডী টাইপিস্টের জন্য এক শিশি চুল ওঠার ঔষুধ আছে। তোমার কোটে তার চুল খুব বেশী করে পাওয়া যাচ্ছে।

 

বাংলা জোকস (Bangla Jokes) – ৭৯ঃ অমন কথা সবাই বলে

ম্যানেজার তার নতুন সেক্রেটারীকে বললো, আমি এখন এক জরুরী মিটিং-এ ব্যস্ত থাকবো । কোন ফোন এলে পরে করতে বলবে ।
সেক্রেটারীঃ জরুরী কথা থাকলে?
ম্যানেজারঃ যে কথাই হোক তুমি স্রেফ না বলে দেবে। বলবে অমন কথা সবাই বলে । যা হোক আমি এখন কথা বলতে চাই না । হ্যাঁ মনে থাকে যেন । বলবে অমন কথা সবাই বলে।
ম্যানেজার যেতেই সেক্রেটারী ফোন রিসিভ করতে লাগলো এবং না করে দিলো কিন্তু ওপাশের মহিলা জরুরী ভীষন জরুরী কথা ইত্যাদি বলে কিন্তু সেক্রেটারীকে গলাতে না পেরে বলেই ফেললো আমি তার স্ত্রী কথা বলছি…
সেক্রেটারী অধৈর্য কন্ঠে বললো, অমন কথা সবাই বলে…

 

বাংলা জোকস (Bangla Jokes) – ৮০ঃ পুলিশ না অ্যাম্বুল্যান্স

স্ত্রী: শোনো না, নীচের তলায় চোর এসেছে। সকালে যে কেকটা বানিয়েছিলাম, সেটা খেয়ে নিচ্ছে।
স্বামী: কাকে ডাকব, পুলিশ না অ্যাম্বুল্যান্স?

 

বাংলা জোকস (Bangla Jokes) – ৮১ঃ কাজের মেয়েটার ছবি

স্বামীঃ কাজের মেয়েটার ছবি তুলে থানায় দিয়েছিলাম, আর তো আসছে না।
স্ত্রীঃ কনেস্টবল পাত্রের জন্য ফোটোসহ আবেদন হয়ে গিয়েছিল বোধহয়!

 

বাংলা জোকস (Bangla Jokes) – ৮২ঃ মাছ রান্না হয়নি

স্বামী: আজ মাছ রান্না হয়নি কেন?
স্ত্রী: মাছটাকে মারতেই পারলাম না।
স্বামী: কী ভাবে মারার চেষ্টা করছিলি?
স্ত্রী: জলে ডুবিয়ে!

 

বাংলা জোকস (Bangla Jokes) – ৮৩ঃ টিভি সিরিয়ালের রোল

–মহাপরিবার সিরিয়ালের মেজ বউটা কি মরে যাবে?
–অন্য সিরিয়ালে ভাল রোল না পেলে সহজে মরবে না।

 

বাংলা জোকস (Bangla Jokes) – ৮৪ঃ গণিতজ্ঞের চায়ের পানি গরম করা

এক গণিতজ্ঞ দিনরাত গণিত নিয়ে এতই ব্যস্ত থাকেন যে, একমাত্র গণিত ছাড়া দুনিয়ার আর কোন প্র্যাক্টিক্যাল বিষয় সম্পর্কে তার পরিষ্কার কোন ধারণা নেই। এই নিয়ে তার স্ত্রী সবসময়ই তার উপর চোটপাট করেন। কাজেই স্ত্রীর মন রক্ষা

করার জন্য একদিন তিনি স্ত্রীকে আশ্বাস দিয়ে বললেন, যাও এখন থেকে আমি তোমার কাছ থেকে টুকটাক সংসারের কাজকর্ম শিখব। স্ত্রী খুবই আনন্দিত হয়ে প্রথমেই তাকে চা তৈরি করা শিখিয়ে দিলেন।

চা তৈরির নিয়মটা স্বামীর মনে আছে কি না, সেটা পরীক্ষা করার জন্য দুদিন পরে স্ত্রী স্বামীকে জিজ্ঞেস করলেন, আচ্ছা বলতো, তোমাকে যদি একটা কেতলি আর দেশলাই দেওয়া হয় আর বলা হয় ঘরে গ্যাসের স্টোভ আছে এবং কলে

পানি আছে, তাহলে তুমি ঠিক কিভাবে চায়ের পানি গরম করবে?

জটিল সব গণিতের সমস্যায় বেচারা স্বামী নিয়মটা ভুলেই গিয়েছিলেন। কিন্তু অনেক ভেবে কিছুটা স্মরণ শক্তি থেকে আর বাকিটা অনুমান থেকে ভয়ে ভয়ে বললেন, প্রথমে কেতলিতে পানি নিব। তারপর দেশলাই জ্বালিয়ে গ্যাসের স্টোভটা চালাবো। তারপর কেতলিটা স্টোভের উপর বসিয়ে পানিটা গরম করলেই তো মনে হয়ে যাবে। তাই না?

হ্যাঁ, হয়েছে – স্ত্রী বললেন। আচ্ছা এবার বলতো, যদি তোমাকে একটা পানি ভর্তি কেতলি দেওয়া হয় আর একটা দেশলাই এবং গ্যাসের স্টোভ দেওয়া হয়, তাহলে কি করবে?

গণিতজ্ঞ এবার হাসিমুখে উত্তর দিলেন, এটা তো খুবই সহজ। প্রথমে কেতলি থেকে পানিটা ফেলে দিব। তাহলেই সমস্যাটা ঠিক আগের সমস্যাটার মতো হয়ে যাবে। আর সেটার সমাধান তো একটু আগেই করেছি। তাই না!

 

বাংলা জোকস (Bangla Jokes) – ৮৫ঃ বিয়ে-বার্ষিকী

স্ত্রীঃ কালতো আমাদের বিয়ে-বার্ষিকী!
স্বামীঃ আমাকে কি করতে হবে?
–কিছু না, এই গোটা পঁচিশেক মুরগির রোস্টের ব্যবস্থা করলেই হবে।
–পঁচিশ বছর আগের ভুলের জন্য আবার পঁচিশটা প্রাণী হত্যা করা কি ঠিক হবে?

 

বাংলা জোকস (Bangla Jokes) – ৮৬ঃ কাঁটা উঠে যাবে এক শতে

নতুন গাড়ির দোকানে ঢুকেছে স্বামী-স্ত্রী। ঘুরে ঘুরে গাড়ি দেখছে।
রোমান্টিক কন্ঠে স্ত্রী বলছে স্বামীকে: আমাকে কি এমন কিছু উপহার দেবে, যেটায় পা দিয়ে একটু চাপ দিলেই তিন সেকেন্ডের মধ্যে কাঁটা উঠে যাবে শূন্য থেকে এক শতে?
স্বামী কিছু বলল না। কথাটা মনে রাখল।
পরদিন স্বামী কিনে নিয়ে এল একটি ওজন মাপার যন্ত্র। বলল: তুমি তো এটাই চাইছিলে! উঠে দাঁড়ালেই এক সেকেন্ডে কাঁটা উঠে যাবে এক শতে।

 

বাংলা জোকস (Bangla Jokes) – ৮৭ঃ প্রতিজ্ঞা

স্ত্রী: প্রতিজ্ঞা করো, আমি মরে যাওয়ার পর কাউকে ভালোবাসবে না।
স্বামী: সে প্রতিজ্ঞা করলাম। কিন্তু তুমি বেঁচে থাকা অবস্থায় এই প্রতিজ্ঞা রক্ষা করার তো দরকার নেই?

 

বাংলা জোকস (Bangla Jokes) – ৮৮ঃ ঈদে একটা নতুন পাঞ্জাবি

স্বামী: ওগো, কাল রাতে তুমি যে বললে, আমার পাঞ্জাবিটা ছিঁড়ে যাওয়ায় ঈদে একটা নতুন পাঞ্জাবি কিনে দেবে−কথাটা আমার স্বপ্নের মতো মনে হয়েছে।
স্ত্রী: তুমি স্বপ্নই দেখেছ। তোমার পাঞ্জাবি আমি সেলাই করিয়ে এনেছি।

 

বাংলা জোকস (Bangla Jokes) – ৮৯ঃ রেসের ঘোড়া ডলি

ডলি, ডলি বলে চিৎকার করতে করতে স্বামীর ঘুম ভেঙে গেল।
স্ত্রী উঠে বললঃ কী ব্যাপার, স্বপ্নে ডলি ডলি করছিলে কেন?
স্বামীঃ রেসের সময় আমি ডলি-ঘোড়ার উপর বাজি ধরেছিলাম। বাজিতে জিতেছি। এই নাও ৫০০ টাকা।
কয়েকদিন পর স্ত্রী স্বামীকে বলল, এই শোন, আজ তোমার সেই রেসের ঘোড়া ডলি ফোন করেছিল।

 

বাংলা জোকস (Bangla Jokes) – ৯০ঃ দাঁত ভেঙে দেবার পর

দুই বান্ধবী।
–এই তোর বর এখনো আগের মত দাঁত খিঁচুনি দেয় নাকি?
–না, মোটেই না।
–ভালো, কিন্তু কিভাবে ঐ বদ অভ্যাস গেল?
–নোড়া দিয়ে সবগুলো দাঁত ভেঙে দেবার পর।

 

বাংলা জোকস (Bangla Jokes) – ৯১ঃ জিলাপির প‌্যাচ

অনেকেই বলেন যে মেয়েদের বোঝা কষ্ট কর। কিন্তু আমি একটু অন্য ভাবে বলি। আমি বলি সৃষ্টিকর্তাকে বোঝা সত্যই দুষ্কার, কারণ তিনি মেয়ে মানুষের মত সুন্দর জিনিষের মধ্যে জিলাপির প‌্যাচের থেকেও জটিল সব প‌্যাচ দিয়া দিছেন এবং সর্বশেষে তিনি তাদেরকে বউ বানিয়ে দেন।

 

বাংলা জোকস (Bangla Jokes) – ৯২ঃ আত্মহত্যা ভাল নাকি খুন হওয়া ভাল

আমার কাছে সত্যই একটা ব্যাপার হাসির মনে হয় যখন শুনি মানুষ প্রশ্ন করে যে ভালবেসে বিয়ে করা ভাল নাকি পারিবারিক ভাবে বিয়ে করা ভাল। আমার কাছে মনে হয় একজন যেন অন্য একজনকে প্রশ্ন করছেঃ আত্মহত্যা ভাল নাকি খুন হওয়া ভাল।

 

বাংলা জোকস (Bangla Jokes) – ৯৩ঃ নিরবতা

বউঃ এই আজতো আমাদের ১ম বিবাহ বর্ষিকী। আমরা আজ কি করব?
বরঃ আসো আমরা দুই মিনিট দাড়িয়ে নিরবতা পালন করি।

 

বাংলা জোকস (Bangla Jokes) – ৯৪ঃ শাস্তি

প্রশ্নঃ আইন কেন একজন পুরুষকে একাধিক বিয়ে করতে দিতে সম্মত হতে চায় না?

উত্তরঃ কারণ একজনকে একটি অপরাধের শাস্তি মাত্র একবারই দেওয়া যায়।

 

বাংলা জোকস (Bangla Jokes) – ৯৫ঃ আষাঢ়ে গল্প

প্রগতিশীল বর (দোকানের সেলস্ গার্লকে): আচ্ছা আপনাদের এখানে কি এমন কোন বই আছে যার নাম “মহিলাদের শাসন কর্তা পুরুষ”?

সেলস্ গার্লঃ স্যার, আষাঢ়ে গল্পের বই ৩/২ নং সেকশনে পাবেন।

 

বাংলা জোকস (Bangla Jokes) – ৯৬ঃ যখন কোন উপায় নাই

প্রেমিকারা হচ্ছে চকলেটের মত, ভাল লাগে যখন-তখন; প্রেমিকরা হচ্ছে পিজার মত, Hot n spicy, খাওয়া হয় প্রায়ই; বউ হচ্ছে ডাল-ভাতের মত, খাওয়া হয় যখন কোন উপায় নাই।

 

বাংলা জোকস (Bangla Jokes) – ৯৭ঃ রিস্ক

একজন মানুষকে টেলিগ্রাম করা হলঃ বউ মারা গেছে, কবর দিব নাকি পুড়িয়ে ফেলব?

সেই মানুষ সাথে সাথে উত্তর পাঠালঃ কোন রিস্ক নেবার দরকার নাই; প্রথমে পোড়ান, তারপর সেই ছাই কবর দিন।

 

বাংলা জোকস (Bangla Jokes) – ৯৮ঃ মন খারাপ

এক বন্ধুর মন খুব খারাপ। অন্য বন্ধু তাই দেখে কথা বলছেঃ
১ম বন্ধুঃ কিরে দোস্ত, মন খারাপ কেন? ওঃ তোর বউ সেই যে বাপের বাড়ি গেল, এখনও আসেনি, তাই?
২য় বন্ধুঃ নারে দোস্ত, আজকে তার ফিরে আসার কথা!

 

বাংলা জোকস (Bangla Jokes) – ৯৯ঃ বারন

স্ত্রীঃ তোমার বন্ধু যাকে বিয়ে করতে যাচ্ছে সে মেয়েটা কঠিন দজ্জাল। তাকে বারন করো।
স্বামীঃ কেন বারন করবো? সে কি আমার সময় বারন করেছিল?

 

বাংলা জোকস (Bangla Jokes) – ১০০ঃ পাগল

স্ত্রীঃ আমি যদি হঠাৎ মারা যাই। তাহলে তুমি কি করবে?
স্বামীঃ তুমি মরে গেলে আমি পাগলই হয়ে যাব।
স্ত্রীঃ আরেকটা বিয়ে করবেনা তো?
স্বামীঃ পাগল হয়ে গেলে তো মানুষ কত কিছুই করে।

 

বাংলা জোকস (Bangla Jokes) – ১০১ঃ বিয়ের আগে বিশ্রাম

স্ত্রীঃ আমি জানি আমি মারা গেলে তুমি সঙ্গে সঙ্গে বিয়ে করবে।
স্বামীঃ না অন্তত মাস খানেক বিশ্রাম নেব।

 

বাংলা জোকস (Bangla Jokes) – ১০২ঃ ছেলের কান্না

স্বামীঃ এতটুকু ছেলে রাস্তায় দাঁড়িয়ে কাঁদছে, বড় মায়া হল, তাই কোলে করে নিয়ে এলাম।
স্ত্রীঃ তুমি কি চোখের মাথা খেয়েছ? নিজের ছেলেকে চিনতে পারছ না।

 

বাংলা জোকস (Bangla Jokes) – ১০৩ঃ পেঁয়াজ কাটতে চোখের জল

স্ত্রী : কী ব্যাপার! বাজার থেকে পেঁয়াজ আননি কেন, দাম বেশি বলে পেঁয়াজ আনবে না?
স্বামী : না, ঠিক তা নয়।
স্ত্রী : তাহলে?
স্বামী : পেঁয়াজ কাটতে বসে তুমি প্রতিদিন চোখের জল ফেলবে, দৃশ্যটা আমি সহ্য করতে পারি না।

 

বাংলা জোকস (Bangla Jokes) – ১০৪ঃ সুন্দরীর কাল

স্ত্রী : বল তো, ‘আমি সুন্দরী’ এটা কোন কাল?
স্বামী : অতীত কাল!

 

বাংলা জোকস (Bangla Jokes) – ১০৫ঃ স্বর্গের নামকরণ

স্ত্রীঃ স্বামী এবং স্ত্রীকে কখনো একসঙ্গে স্বর্গে ঢোকার অনুমতি দেয়া হয় না।
স্বামীঃ হ্যাঁ, এজন্যই এর নাম স্বর্গ।

 

বাংলা জোকস (Bangla Jokes) – ১০৬ঃ ভাবনা

স্বামী: তুমি কি ভেবেছো? আমি কি গাধা!!?
স্ত্রী: এতে ভাবাভাবির তো কিছু দেখি না!

 

বাংলা জোকস (Bangla Jokes) – ১০৭ঃ ইয়ার্কি পছন্দ করি না

স্বামী-স্ত্রী ঝগড়া করছে। ঝগড়ার এক পর্যায়ে স্ত্রী স্বামীর গালে চড় মারল-
স্বামীঃ তুমি আমাকে চড়টা সিরিয়াসলি মেরেছ, নাকি ইয়ার্কি করে মেরেছ ?
স্ত্রীঃ সিরিয়াসলিই মেরেছি।
স্বামীঃ তাহলে আজ বেঁচে গেলে। তুমি তো জানো আমি ইয়ার্কি একদম পছন্দ করি না।

 

বাংলা জোকস (Bangla Jokes) – ১০৮ঃ স্ত্রীর প্যান্ট সেলাই

দুই বন্ধুর মধ্যে কথা হচ্ছে ­
১ম বন্ধুঃ তুমি তো দেখছি একেবারে তোমার বউয়ের চাকর হয়ে গেছ! সেদিন দেখলাম তুমি তোমার প্যান্টটা নিজেই সেলাই করছ ।
২য় বন্ধুঃ তুমি ঠিকই দেখেছ। কিন্তু সেই প্যান্টটা তো আমার নয়, ওটা আমার স্ত্রীর।

 

বাংলা জোকস (Bangla Jokes) – ১০৯ঃ কোন সিনেমাটা দেখলি

দুই বন্ধু গল্প করছে —
সুমনঃ বুঝলি, কাল আমার বউয়ের সঙ্গে তুমুল ঝগড়া হয়েছিল ।
সাজুঃ কি নিয়ে?
সুমনঃ আমি চাইছিলাম ক্লাবে যেতে আর ও চাইছিল সিনেমায় যেতে ।
সাজুঃ তা শেষ পর্যন্ত কোন সিনেমাটা দেখলি?

 

বাংলা জোকস (Bangla Jokes) – ১১০ঃ ইঁদুরকে ভয়

দুই বন্ধুর মধ্যে কথা কাটাকাটি হচ্ছে—
১ম বন্ধুঃ আসলে তুই একটা ইঁদুর।
২য় বন্ধুঃ তোর এই কথাটা আমি মানতে পারলাম না। কারণ ইঁদুর হলে আমার বউ এতদিনে আমাকে দেখে ছুটে পালাত। ইঁদুরকে ওর ভীষণ ভয়।

 

বাংলা জোকস (Bangla Jokes) – ১১১ঃ লাইট ছাড়া কাজ করব কী করে

অপু এবং নাছের দুই বন্ধু একই অফিসে চাকরি করে।
অপু: দোস্ত, কত দিন ধরে ছুটি পাই না। কাজ করতে করতে হাঁপিয়ে উঠেছি। কিন্তু বস তো কিছুতেই ছুটি দেবেন না।
নাছের: হুমম্। আমিও হাঁপিয়ে উঠেছি। কিন্তু আমি বসের কাছ থেকে ছুটি নিতে পারব, দেখবি?
বলেই নাছের টেবিলের ওপর উঠে দাঁড়াল এবং ছাদ থেকে বেরিয়ে আসা একটা রড ধরে ঝুলতে শুরু করল। কিছুক্ষণ পর বস এলেন।
বস: এ কী নাছের! তুমি ঝুলে আছ কেন?
নাছের খুব স্বাভাবিক ভঙ্গিতে বলল, ‘স্যার আমি লাইট, তাই ঝুলে আছি।’
বস ভ্রূ কুঁচকে তাকালেন। কিছুক্ষণ ভেবে বললেন, ‘অতিরিক্ত কাজের চাপে তোমার মস্তিষ্ক বিকৃতি দেখা দিচ্ছে। তুমি বরং এক সপ্তাহের ছুটি নাও।’
নাছের অপুর দিকে তাকিয়ে মুচকি হেসে রুম থেকে বিদায় নিল।
অপু চেয়ে চেয়ে দেখল। নাছের বেরিয়ে যেতেই সেও নাছেরের পিছু নিল।
বস: সে কী! ছুটি তো ওকে দিয়েছি! তুমি কোথায় যাচ্ছ?
অপু: কী আশ্চর্য! লাইট ছাড়া কাজ করব কী করে?

 

বাংলা জোকস (Bangla Jokes) – ১১২ঃ ছুটি – নাপা খান, চাপা মারেন

জ্বর, ঠান্ডা, মাথাব্যথা, পেটব্যথা হলেও আজকাল কেউ বিশ্বাস করতে চায় না।
আর তাই ছুটি পেতে চাইলে বসকে সরাসরি না বলে এভাবে বলা যেতে পারে।
:স্যার, পেইনকিলার আছে আপনার কাছে?
: না নেই। কেন, অসুস্থ নাকি?
: না, তেমন না।
একটু পর আবারও
: স্যার, নাপা হলেও চলত। দেখেন তো, আছে কি না।
: যান বাড়ি যান। নাপা খান, চাপা মারেন, যা খুশি করেন গিয়া।

 

বাংলা জোকস (Bangla Jokes) – ১১৩ঃ মহিলা সেক্রেটারি

মহিলা সেক্রেটারি তাঁর বসকে ‘স্যার, আপনার স্ত্রী সব সময় আমাকে সন্দেহের দৃষ্টিতে কেন দেখে?’

বস: কারণ, তোমার আগে সে আমার সেক্রেটারি ছিল।

 

বাংলা জোকস (Bangla Jokes) – ১১৪ঃ বিবাহবার্ষিকী – শোক দিবস

বিবাহবার্ষিকী সামনে এলেই কৌতুকটা মনে পড়ে।
এক কর্মচারী গেছেন অফিসের বসের কাছে ছুটির আবেদন নিয়ে।
স্যার, আগামীকাল আমার ছুটি লাগবে।
বস: কেন?
কর্মচারী: স্যার, আগামীকাল আমার বিবাহবার্ষিকী।
বস: সে তো রাতে। কিন্তু সারা দিন ছুটি দিয়ে কী করবেন?
কর্মচারী: শোক দিবস পালন করব, স্যার!

 

বাংলা জোকস (Bangla Jokes) – ১১৫ঃ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা-সততা

অফিসে সিদ্দিক সাহেবের প্রথম দিন।
বস: আমাদের অফিসে একটি ব্যাপারে আমরা খুবই গুরুত্ব দিই, তা হলো পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা। তুমি নিশ্চয়ই আমার ঘরে ঢোকার আগে পাপোশে জুতা মুছে ঢুকেছ?
সিদ্দিক: অবশ্যই স্যার।
বস: আরেকটি ব্যাপারে আমরা আরও বেশি কঠোর। তা হলো সততা। দরজার বাইরে কোনো পাপোশ নেই, ইডিয়ট!

 

বাংলা জোকস (Bangla Jokes) – ১১৬ঃ শোক-দিবস

কর্মচারী: স্যার, কালকে ছুটি চাই।
বস: কেন?
কর্মচারী: স্যার, কাল আমার বিবাহবার্ষিকী।
বস: সে তো রাতে। কিন্তু সারাদিন ছুটি দিয়ে কী করবে?
কর্মচারী: শোক-দিবস পালন করব!

 

বাংলা জোকস (Bangla Jokes) – ১১৭ঃ চিঠিটা পেলেই হলো

চিঠি পোস্ট করতে পোস্ট অফিসে গেছে নিতু।
কর্মকর্তা: চিঠিটা যদি দ্রুত পৌঁছাতে চান, খরচ পড়বে ৪০ টাকা। আর যদি স্বাভাবিক নিয়মেই পাঠাতে চান, তাহলে খরচ পড়বে ৫ টাকা।
নিতু: সমস্যা নেই, আমার তেমন কোনো তাড়া নেই। প্রাপক তার জীবদ্দশায় চিঠিটা পেলেই হলো।
কর্মকর্তা: তাহলে আপনাকে ৪০ টাকাই দিতে হবে!

 

বাংলা জোকস (Bangla Jokes) – ১১৮ঃ পোস্ট অফিস

শাহীন গেছে পোস্ট অফিসে।
শাহীন: আমি এই চিঠিটা পোস্ট করতে চাই।
কর্মকর্তা: হুম। প্রাপকের ঠিকানা কী লিখব?
শাহীন: জাতীয় জাদুঘর।
কর্মকর্তা: কিছু মনে করবেন না, আপনি জাদুঘরে চিঠি পাঠাচ্ছেন কেন?
শাহীন: কারণ, আমি শুনেছি আপনারা চিঠি পৌঁছাতে অনেক দেরি করেন। যত দিনে চিঠিটা পৌঁছবে, তত দিনে চিঠির নিশ্চয়ই একটা প্রত্নতাত্ত্বিক মূল্য তৈরি হবে।

 

বাংলা জোকস (Bangla Jokes) – ১১৯ঃ ছাগলের চিঠি

বড় কর্তার সেদিন মেজাজ খুবই খারাপ। অফিসে ঢুকেই দেখলেন পিয়নটা হাতে কিছু কাগজ নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে।
বড় কর্তা: এই, কাজের কাজ তো কিছু করিস না। হাতে কী?
পিয়ন: স্যার চিঠি।
বড় কর্তা: কোন ছাগলের চিঠি?
পিয়ন: স্যার আপনার।
বড় কর্তা: কোন গাধা লিখেছে?
পিয়ন: স্যার আপনার বাবা!

 

বাংলা জোকস (Bangla Jokes) – ১২০ঃ পিৎজা ডেলিভারি

অফিসের নতুন বড়কর্তা কাজের ব্যাপারে খুব কড়া। কাউকে একবিন্দু ছাড় দেন না। চাকরির প্রথম সপ্তাহেই একদিন খেপে গেলেন তিনি। রেগেমেগে রুম থেকে বেরিয়েই এক লোককে পাকড়াও করলেন। অফিসের সবার সামনে চিৎকার করে বললেন, ‘সপ্তাহে কত টাকা মাইনে পাও তুমি, শুনি?’
লোকটা ভয়ে কাঁপতে কাঁপতে বলল, ‘৩০০০ টাকা’।
বড়কর্তা তাঁর মুখের ওপর ৩০০০ টাকা ছুড়ে দিয়ে বললেন, ‘এই নাও তোমার এ সপ্তাহের মাইনে, আর বেরিয়ে যাও।’
লোকটা বেরিয়ে যাওয়ার পর বললেন বড়কর্তা, ‘প্রয়োজন হলে এভাবেই অফিসের প্রত্যেককে বের করে দেব আমি। যাই হোক, ওই লোকটা আমাদের অফিসে কী কাজ করে?’
কর্মচারীদের একজন বলল, ‘স্যার, ও আমাদের এখানে পিৎজা ডেলিভারি দেয়!’

 

বাংলা জোকস (Bangla Jokes) – ১২১ঃ প্রেমিকার সঙ্গে রিকশায়

বসের সঙ্গে ফোনে কথা হচ্ছে কর্মচারীর।
কর্মচারী: স্যার, আজকে আমার শরীরটা খুব খারাপ। আজ অফিসে আসতে পারব না।
বস: শরীর খারাপ থাকলে আমি কী করি জানো? আমার প্রেমিকার সঙ্গে রিকশায় ঘুরে বেড়াই, বেশ ভালো লাগে। তুমিও চেষ্টা করে দেখতে পারো।
কিছুক্ষণ পর বসকে ফোন করলেন কর্মচারী। বললেন, ‘স্যার, আপনার বুদ্ধিটা বেশ কাজে লেগেছে। রিকশায় ঘুরে খুব ভালো লাগছে। আপনার প্রেমিকাও বেশ স্মার্ট, রিকশা ভাড়াটা সেই দেবে বলেছে…!’

 

বাংলা জোকস (Bangla Jokes) – ১২২ঃ বিবাহিতদেরই নিয়োগ

এক অফিসের বস কেবল বিবাহিত লোকদেরই নিয়োগ দেন। একদিন তাঁর বউ তাঁকে জিজ্ঞেস করল, ‘তুমি কেবল বিবাহিতদেরই নিয়োগ দাও কেন?’
স্বামী বললেন, ‘কারণ তারা সহজে বাসায় যেতে চায় না, ধমক সহ্য করে আর মুখ বন্ধ রাখতে জানে।’

 

বাংলা জোকস (Bangla Jokes) – ১২৩ঃ মোট লোকের অর্ধেক

দুই বন্ধুর দেখা হলো বহুদিন পর।
প্রথম বন্ধু: শুনলাম তুই একটা ব্যবসা চালু করেছিস, কী সৌভাগ্য তোর!
দ্বিতীয় বন্ধু: আরে না, খুবই ছোট আকারের ব্যবসা।
প্রথম বন্ধু: তবু, তুই একটা অফিসের বস। তা তোর অধীনে অফিসে কতজন কাজ করে?
দ্বিতীয় বন্ধু: মোট লোকের অর্ধেক।

 

বাংলা জোকস (Bangla Jokes) – ১২৪ঃ হাসাহাসি না করলেও চলবে

একদিন দুপুরে বসের মুড বেশ ভালো। সে কর্মচারীদের একের পর এক কৌতুক শোনাচ্ছিল। কর্মচারীরাও হাসছিল হো হো করে। শুধু হাসছিলেন না এক মহিলা।
বস বললেন, ‘কী ব্যাপার, তুমি হাসছ না কেন?’
মহিলা: আমি কাল চাকরি ছেড়ে দিচ্ছি। আমার অত হাসাহাসি না করলেও চলবে।

 

বাংলা জোকস (Bangla Jokes) – ১২৫ঃ সময়ানুবর্তী

এক অফিসের কর্মচারীরা সবাই পৌঁছে যান একদম ঠিক সময়ে।
বসকে বললেন তাঁর এক বন্ধু, ‘তোমার কর্মচারীদের কী এমন জাদু করেছ যে তাঁরা এত সময়ানুবর্তী হয়ে গেল?’
বস হাসতে হাসতে বললেন, ‘জাদু না হে, আমার অফিসে একটা চেয়ার কম। সবাই সময়মতো পৌঁছাতে চেষ্টা করে, যেন দাঁড়িয়ে থাকতে না হয়!’

 

বাংলা জোকস (Bangla Jokes) – ১২৬ঃ চালক অফিসের বস, কর্মচারী

মহাসড়ক ধরে ছুটে যাচ্ছিল দুটি গাড়ি। একটির চালক অফিসের বস, অন্যটি চালাচ্ছিলেন অফিসের এক কর্মচারী। চলতে চলতে বস একসময় চেষ্টা করছিলেন, কর্মচারীর গাড়িটি ওভারটেক করে সামনে চলে যেতে। কর্মচারী গাড়ির জানালা দিয়ে মাথা বের করে চিৎকার করে বললেন, ‘গরু!’
শুনে রেগে আগুন হলেন বস! তিনিও জানালা দিয়ে মাথা বের করে ‘কত বড় সাহস! তুমি আমাকে গরু বললে? তুমি একটি ছাগল, গাধা, বেয়াদব…’ বলতে বলতেই রাস্তার ওপর দাঁড়িয়ে থাকা একটি গরুর সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে পাশের ধানখেতে ছিটকে পড়লেন!

এ গল্প থেকে আমরা যা বুঝলাম: বসরা কখনোই কর্মচারীদের কথা আমলে নেন না!

 

বাংলা জোকস (Bangla Jokes) – ১২৭ঃ ছুটি

অফিসের বস কর্মচারীদের বললেন, ‘আজ আমার মনটা বেশ ভালো। বলো, তোমাদের কী দাবিদাওয়া। আজ সব শুনব।’
এক কর্মচারী বললেন, ‘স্যার, আমরা ছুটি খুবই কম পাই। ছুটি একটু বাড়িয়ে দেওয়া যায় না?’
বস: কী রকম ছুটি চাও, বলো?
কর্মচারী: ছয় মাসের ছুটি, বছরে দুবার!

 

বাংলা জোকস (Bangla Jokes) – ১২৮ঃ ছুটির আবেদন

বড়কর্তার কাছে ছুটির আবেদন নিয়ে গেছে আরিফ।
আরিফ: স্যার, বউকে নিয়ে মার্কেটে কেনাকাটা করতে যাব। আগামীকাল ছুটি চাই।
বড়কর্তা: কোনো ছুটি হবে না।

 

বাংলা জোকস (Bangla Jokes) – ১২৯ঃ দেরি

এক অফিসের বস অত্যন্ত বদরাগী। কর্মচারীরা সবাই তার ভয়ে তটস্থ থাকে এবং প্রতিদিন সময়মতো অফিসে হাজির হয়। একদিন এক কর্মচারী এক ঘণ্টা পর অফিসে প্রবেশ করলেন। তাঁর কপালে ব্যান্ডেজ বাঁধা, জামাকাপড়ে ধুলোবালি।
বস: কী ব্যাপার? আজ এত দেরি কেন?
কর্মচারী: স্যার, আমি সময়মতোই অফিসে এসেছিলাম। কিন্তু অফিসের সিঁড়ি দিয়ে ওঠার সময় হঠাৎ পা পিছলে পড়ে গেলাম।
বস: এখন নিশ্চয়ই বলবেন, আপনি এক ঘণ্টা ধরে সিঁড়ি থেকে গড়িয়ে পড়ছিলেন?

 

বাংলা জোকস (Bangla Jokes) – ১৩০ঃ ছুটি

কর্মচারী: স্যার, আমার একদিনের ছুটি দরকার।
বস: বছরে ৩৬৫ দিনে প্রতি সপ্তাহে দুদিন করে ৫২ সপ্তাহে আপনি সাপ্তাহিক ছুটি পান মোট ১০৪ দিন। বাকি রইল ২৬১ দিন। প্রতিদিন ১৬ ঘণ্টা আপনি অফিসের বাইরে কাটান। সে হিসাবে আপনি অফিসের বাইরে থাকেন মোট ১৭০ দিন। বাকি রইল ৯১ দিন। প্রতিদিন ৩০ মিনিট করে আপনাকে চা পানের বিরতি দেওয়া হয়। হিসাব অনুযায়ী, রইল বাকি ৬৮ দিন। প্রতিদিন এক ঘণ্টা করে আপনাকে দুপুরের খাবারের বিরতি দেওয়া হয়। রইল বাকি ২২ দিন। দুদিন আপনি অসুস্থতার জন্য ছুটি কাটান। রইল ২০ দিন। বছরে ১৯ দিন থাকে সরকারি ছুটি, রইল আর ১ দিন।
সেই একটা দিনও আপনি ছুটি কাটাতে চান?!

 

বাংলা জোকস (Bangla Jokes) – ১৩১ঃ মৃত্যুর পরের জনমে বিশ্বাস

বস বলছেন কর্মচারীকে, ‘আপনি কি মৃত্যুর পরের জনমে বিশ্বাস করেন?’
কর্মচারী: জি স্যার।
বস: হুমম্, করারই কথা। গতকাল আপনি মায়ের মৃত্যুবার্ষিকীর কথা বলে অফিস থেকে ছুটি নেওয়ার পর আপনার মা অফিসে এসেছিলেন, আপনার সঙ্গে দেখা করতে!

 

বাংলা জোকস (Bangla Jokes) – ১৩২ঃ মশা মারা

হাবলু ও সঞ্জুর মধ্যে কথা হচ্ছে—
সঞ্জু: কী রে, তুই অফিসে না গিয়ে এভাবে বসে আছিস কেন?
হাবলু: আর বলিস না। বড় কর্তা অফিসে আসতে বারণ করে দিয়েছেন। বস আমার ওপর খুব খেপা।
সঞ্জু: কেন?
হাবলু: অফিসে কাজ করার সময় একটা মশা মেরেছিলাম, এ কারণে হবে হয়তো।
সঞ্জু: শুধু একটা মশা মারার কারণে এই শাস্তি! তোর বড় কর্তা তো লোক ভালো না।
হাবলু: আরে বোকা, রেগেছেন কী সাধে! মশাটা যে উনার গালের ওপর বসে ছিল।

 

বাংলা জোকস (Bangla Jokes) – ১৩৩ঃ দুর্ঘটনা

বস-কর্মকর্তার মধ্যে কথা হচ্ছে—
কর্মকর্তা: স্যার, এবার আমার বেতনটা একটু বাড়িয়ে দিলে ভালো হতো।
বস: কেন?
কর্মকর্তা: গত সপ্তাহে বিয়ে করেছি। তাই আগের বেতনে দুজনের চলাটা বেশ কষ্ট হবে, স্যার।
বস: শুনুন, অফিসের বাইরের কোনো দুর্ঘটনার জন্য অফিস কোনোভাবেই দায়ী নয়। আর তার জন্য জরিমানা দিতেও অফিস রাজি নয়।

 

বাংলা জোকস (Bangla Jokes) – ১৩৪ঃ বেতন ছাড়াই কাজ

অফিসের এক কর্মকর্তা বড় কর্তার সেক্রেটারির সঙ্গে অফিসে বসেই চুটিয়ে প্রেম করে যাচ্ছিলেন। একদিন বড় কর্তার কাছে হাতেনাতে ধরা পড়ে গেলেন তাঁরা। তিনি রেগে বললেন, ‘আপনারা কাজ না করে অফিসে কী শুরু করেছেন এসব? এটাই কি সেই কাজ যার জন্য প্রতি মাসে আমি আপনাদের বেতন দিই?’
‘না, স্যার। এ নিয়ে আপনাকে চিন্তা করতে হবে না। অফিসে হলেও এই কাজ কিন্তু আমরা কোনো ধরনের বেতন ছাড়াই করছি, স্যার।’—কর্মকর্তার জবাব।

 

বাংলা জোকস (Bangla Jokes) – ১৩৫ঃ আয়না

অফিসের বড় কর্তা তাঁর অফিস সহকারীকে ডেকে বললেন, ‘আমার জন্য খুব ভালো দেখে একটি আয়না নিয়ে আসো। এমন আয়না আনবে যে আয়নাতে আমার চেহারাটা বেশ ভালো দেখা যায়।’
বড় কর্তার কথা শুনে অফিস সহকারী আয়না কিনতে গেলেন। ঘণ্টা খানেক পর অফিস সহকারীর খালি হাতে ফিরে আসা দেখে বড় কর্তা রেগে বললেন, ‘কী, একটা আয়নাও কিনতে পারো না। বেকুব কোথাকার!’
‘আমি সব দোকানেই খোঁজ করেছি। আয়না অনেক আছে কিন্তু কোনো আয়নাতেই তো আপনার চেহারা দেখা যায় না। যে আয়নাতেই তাকাই, আমার চেহারা দেখা যায়। ওই আয়না নিয়ে এলে তো আপনি রেগে যেতেন, স্যার।’

 

বাংলা জোকস (Bangla Jokes) – ১৩৬ঃ ধোঁকা

বড় কর্তার সেক্রেটারির সঙ্গে বড় কর্তার স্ত্রীর কথা হচ্ছে—
সেক্রেটারি: ম্যাডাম, কয়েক দিন ধরে আপনাকে বেশ উদাস দেখা যাচ্ছে। কোনো সমস্যা হয়েছে নাকি!
বড় কর্তার স্ত্রী: আর বোলো না। শুনেছি তোমার বস অফিসের এক নতুন কর্মচারীর প্রেমে পড়েছে।
সেক্রেটারি: বলেন কী! এটা কিছুতেই হতে পারে না। স্যার কিছুতেই আমাকে ধোঁকা দিতে পারেন না।

 

বাংলা জোকস (Bangla Jokes) – ১৩৭ঃ সরকারি চাকরি

প্রথম বন্ধু: আমার দাদা দৌড়ে চ্যাম্পিয়ন ছিলেন। তির ছুড়ে দিলে সেটার আগে লক্ষ্যে পৌঁছে যেতেন।
দ্বিতীয় বন্ধু: আমার দাদা আরও বড় দৌড়বিদ। গুলির পাশাপাশি ছুটতে পারতেন তিনি।
তৃতীয় বন্ধু: আর আমার দাদা সরকারি চাকরি করতেন। অফিস ছুটি হতো পাঁচটায়, তিনি তিনটার সময়ই বাসায় চলে আসতেন রোজ।

 

বাংলা জোকস (Bangla Jokes) – ১৩৮ঃ বিবাহিত লোকদের নিয়োগ

ম্যানেজার: স্যার, সব সময় আপনি শুধু বিবাহিত লোকদের নিয়োগ দেন কেন?
বস: কারণ, একমাত্র বিবাহিতরাই গালাগাল শুনেও কাজ ছেড়ে যায় না।

 

বাংলা জোকস (Bangla Jokes) – ১৩৯ঃ নয়টার সময় কিছু হয়েছিল বুঝি

অফিসে দেরি করে এসেছে দেখে কর্মচারীকে ডেকে পাঠালেন বস, ‘আপনার এখানে নয়টার সময় আসা উচিত ছিল।’
কর্মচারী জবাব দেয়, ‘কেন, স্যার? নয়টার সময় কিছু হয়েছিল বুঝি?’

 

বাংলা জোকস (Bangla Jokes) – ১৪০ঃ বোনাসের টাকা

হঠাৎ লোকসানের মুখে পড়া এক মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানি কর্মচারীদের বার্ষিক বোনাসের বাজেট বাঁচাতে একটা নোটিশ টাঙাল—
আপনি যদি দামি কাপড় পরে অফিসে আসেন তাহলে আমরা বুঝব আপনি খুবই সচ্ছল, বোনাসের এই সামান্য কটা টাকা না হলেও আপনার চলবে।
আপনি যদি আজেবাজে কাপড় পরে অফিসে আসেন তাহলে আমরা বুঝব আপনি ফালতু খরচ করেন। তাই বার্ষিক বোনাসের টাকা আপনাকে দেওয়া হবে না, কেননা আপনি সেটাও উড়িয়ে দেবেন।
আপনি যদি একদম ঠিকঠাক কাপড় পরে অফিসে আসেন সে ক্ষেত্রে আমরা বুঝব আপনি বেশ ভালোই আছেন। তাহলে বোনাসের টাকা নিয়ে করবেনটা কী শুনি?

 

বাংলা জোকস (Bangla Jokes) – ১৪১ঃ আরো ভারী

পোষ্ট অফিসে গিয়ে এক লোক পোস্টমাস্টারের দিকে একট খাম বাড়িয়ে দিল।
: দেখুন তো ভাই, ঠিক আছে কি না?
: আরও বিশ পয়সার টিকেট দিতে হবে। চিঠি ভারী হয়ে গেছে।
: টিকেট লাগালে তো আরো ভারী হয়ে যাবে।

 

বাংলা জোকস (Bangla Jokes) – ১৪২ঃ কিছুক্ষণের ছুটি

: স্যার, আজ দুপুরের পর আমাকে কিছুক্ষণের ছুটি দেবেন? আমার স্ত্রীকে নিয়ে একটু শপিং-এ যেতে হবে।
: না, কোনো ছুটি নেই।
: আপনি আমাকে বাঁচালেন, স্যার। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।

 

বাংলা জোকস (Bangla Jokes) – ১৪৩ঃ কারো কি বাবা মারা যায় না

: জানিস, ম্যানেজার সাহেব আমাকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করেছেন।
: কেন?
: তিন দিন অফিসে যাই নি তাই।
: ম্যানেজার সাহেবকে বলে দিলেই পারতি যে তোর বাব মারা গেছেন।
: এ কথা উনি বিশ্বাস করতেন না।
: কেন, কারো কি বাবা মারা যায় না?
: মারা তো অবশ্যই যায়, কিন্তু ম্যানেজার সাহেবই যে আমার বাবা।

 

বাংলা জোকস (Bangla Jokes) – ১৪৪ঃ দুই সপ্তাহের ছুটি

জানিস, কাল থেকে আমার দুই সপ্তাহের ছুটি।কাল থেকে আমি এক সপ্তাহের ছুটিতে যাচ্ছি। তার পরের সপ্তাহে যাচ্ছেন আমার বস।

 

বাংলা জোকস (Bangla Jokes) – ১৪৫ঃ মরার সময় ফেল

: আমাদের বস নাকি মারা গেছেন?
: হ্যাঁ, হার্টফেল করে মারা গেছেন।
: কী দুর্ভাগ্য! সারা জীবন পাসের পর পাস করে, মরার সময় ফেল করে মরলেন!

 

বাংলা জোকস (Bangla Jokes) – ১৪৬ঃ অফিসের স্টাফ না

: কাল অফিসে আসোনি কেন?
: আমার বাবা মারা গিয়েছেন গতকাল।
: তোমার বাবা তো আমাদের অফিসের স্টাফ না, তিনি না এলেও কিছু যায় আসে না। তুমি আসোনি কেন?

 

বাংলা জোকস (Bangla Jokes) – ১৪৭ঃ রক্ত পানি করে অফিস

: এ কী মশারি ছাড়া শুয়ে আছিস? যে মশা তা তোর রক্ত সব খেয়ে শেষ করে দেবে।
: রক্ত পাবে কোথায়…সারা দিন রক্ত পানি করে অফিস করি, শরীরে কি আর রক্ত আছে।

 

বাংলা জোকস (Bangla Jokes) – ১৪৮ঃ কোম্পানির মালিক

: জানিস, মাত্র তিনদিন অফিস কামাই করার জন্য মালিক আমাকে আর অফিসে ঢুকতে দেবেন না বলেছেন।
: তুই একটা গাধা, বলতে পারলি না তোর বাবা মারা গেছেন।
: আমার বাবাই তো কোম্পানির মালিক।

 

বাংলা জোকস (Bangla Jokes) – ১৪৯ঃ যেন আর না হয়

বস : কী ব্যাপার অফিস ৯ টায় শুরু তুমি এসেছো ৫ টায়?
কর্মচারী : স্যার আজ বিয়ে করলাম যে।
বস : দেখ এই ঘটনা যেন আর না হয়।

 

বাংলা জোকস (Bangla Jokes) – ১৫০ঃ মিথ্যাবাদী

প্রতিদিন অফিসে দেরি করে আসে জোনস আর এসেই একটা না একটা অজুহাত দিয়ে পার পেয়ে যায়। একদিন তার বস প্রচন্ড রেগে গেল। সে ঘোসণা দিল-জোনস আমি অনেক সহ্য করেছি, আর না। আজকে তোমাকে বলতে হবে কেন তুমি দেরি করে এসেছ আর আজও যদি তুমি কোনো মিথ্যা বলার চেষ্টা কর তবে আজই তোমার চাকরির শেষ দিন। জোনস জলদি বলা শুরু করল-
: আজ সকালে সব কিছুই কেমন জট পেকে যাচ্ছিল স্যার … আমি ড্রাইভিং জানি না, আমার স্ত্রীই আমাকে রোজ অফিসে নামিয়ে দিয়ে যায়, কিন্তু আজ সে উঠতে দেরি করল, আমি নিচে অপেক্ষা করছিলাম দশ মিনিট পর সে যখন রেডি হয়ে গ্যারেজে গেল তখন দেখল পেছনের চাকা পাংচার হয়ে গেছে। আমি বাধ্য হয়ে বাস ধরলাম কিন্তু পথে হঠাৎ কোথা থেকে গডজিলা এসে উপস্থিত। সে আমাদের বাস উল্টে দিল। ভাগ্যিস তার পাশেই ছিল এয়ারপোর্ট। আমি দৌড়ে একটি জেট বিমান ধরলাম। কিন্তু মাঝ আকাশে গিয়ে সেটার ইঞ্জিন নষ্ট হয়ে গেল, তখন সুপারম্যান এসে আমাদের উড়িয়ে নিয়ে চলতে লাগল …
এতটুকু যেতেই প্রচন্ড রাগে ফেটে পড়লেন বস- ‘মিথ্যাবাদী। বেরিয়ে যাও আমার অফিস থেকে … মহিলারা কখনো দশ মিনিটে রেডি হতে পারে?’

Leave a Comment